দীর্ঘদিন ধরে পিঠের ও কুঁচকির ইনজুরি নিয়েই খেলে যাচ্ছেন মরগ্যান। এদিকে দীর্ঘসময় ধরে ব্যাট হাসছে না মরগ্যানের। গত ১৮ মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ফিফটির সংখ্যা মাত্র একটি।

তাই অধিনায়কত্ব তো বটেই; তার দলভূক্ত হওয়া নিয়েও চলেছে সমালোচনা।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেরদিন সমালোচনা কড়া জবাব দিতে এ ইংলিশ তারকা বলেছিলেন, ‘এখনও বিশ্বকাপ জেতাতে দলে অবদান রাখতে পারি। ’

আর এমন বক্তব্য দেওয়ার পরদিনই ‘গোল্ডেন ডাক’ মারলেন তিনি।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দলের টপঅর্ডারদের তিনজনই সেঞ্চুরি হাঁকানোর দিনে মরগান ফিরেছেন কোনো রান না করেই।

বাঁহাতি ধীর গতির অর্থডক্স বোলার পিটার সিলারকে প্রথম মোকাবিলা করতে নেমেই ব্যাটে বল লাগাতে ব্যর্থ হন মরগান। লেগবিফোরের আপিলে আঙুল উঁচিয়ে দেন আম্পায়ার। শূন্য রানে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক।

অথচ এদিন ডাচ বোলারদের পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে ছেড়েছে ৪ ইংলিশ তারকা।

মরগানের মতো শুধু ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার জেসন রয়। মিডিয়াম পেসার শ্যান স্ট্যানারের বলে বোল্ড হয়ে ১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

তার আউটের পর যেন ক্ষেপে যায় ইংলিশ ব্যাটাররা। নেদারল্যান্ডসের বোলারদের তুলোধোনা করে জমা করেন ৪৯৮ রান!

ডাচ লেগব্রেক বোলার ফিলিপ বোসিয়েভেইনই ১০ ওভারে দেন ১০৮ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে ফিল সল্ট ও দাভিদ মালান ২২২ রানের জুটি গড়েন। দুজনই তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে শতক। সল্ট ৯৩ বলে ১২২ ও মালান ১০৯ বলে করেন ১২৫ রান। চারে নেমে আরও খুনে মেজাজে ব্যাট চালান জস বাটলার।

সাত চার ও ১৪ ছক্কায় মাত্র ৭০ বলে খেলেন ১৬২* রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। শেষদিকে তাণ্ডব চালান লিয়াম লিভিংস্টোন। সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে করেন ৬৬* রান।

পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। এর পরও ২৩২ রানের বিশাল জয় পায় ইংল্যান্ড।