তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের হাইকোর্ট। ফলে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগের দিন ইমরান খানের আপিল খারিজ করে দিলেন পাকিস্তানের হাইকোর্ট।

আপিল খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইমরানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগের দোষী সাব্যস্ত হওয়া রায় স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্যই থাকবেন তিনি।

এর আগে বুধবার ইমরান খানের আরেক আইনজীবী আলী জাফর জানিয়েছিলেন, কারাগারে বসেই লাহোর, মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ আসনে লড়াই করবেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান।

চলতি বছরের ৫ আগস্ট আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। একই সঙ্গে তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন ওই আদালত।

তা ছাড়া রায় ঘোষণার পর একই দিনে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরান খানকে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবের আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

যদিও ইসলামাবাদ দায়রা আদালতের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। তবে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসসহ আরও কয়েকটি মামলায় এখনো কারাগারেই আছেন ইমরান খান।

ধারণা করা হচ্ছে, গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায়ও দণ্ড পেলে আর কখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৪০টিরও বেশি মামলা হয়েছে।

সূত্র: দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস