জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়। যারা এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা আপিলেও না টিকলে পক্ষপাত করবে না দল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাশকতা করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত করা যাবে না। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। এক নির্বাচিত সরকারের কাছে আরেক নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, এটাতে আওয়ামী লীগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সামনের রোববার আওয়ামী লীগের সমাবেশ বিএনপির সঙ্গে পালটাপালটি কোনো কর্মসূচি নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছি। মানবাধিকার দিবস পালন করা গণতান্ত্রিক অধিকার।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত কোনো প্রার্থী অযোগ্য বিবেচিত হলে দলের পক্ষ থেকে কিছু করার নেই। আপিল করে যদি তারা না টেকে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কারও পক্ষে চাপ প্রয়োগ করতে যাব না।

১৪ দলের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোট যেহেতু আছে, কিছু আসন ভাগাভাগি হবেই। তবে বিজয়ী হবে না এমন কোনো প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দিতে পারি না। শুধু জোটের দিকে তাকিয়ে নয়, নির্বাচিত হবে এমন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হবে। জোটের খাতিরে শুধু শুধু মনোনয়ন দিলে গণতন্ত্রের প্রতি সুবিচার হবে না।

নির্বাচনের মাধ্যমে শক্তিশালী বিরোধী দল আসবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন হলেই সেটা পরিষ্কার হবে। যেহেতু সরকারি দল থাকবে, সেহেতু বিরোধী দলও থাকবে। সরকারবিরোধী অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যদি সত্যিকার অর্থে অন্যান্য দল নিজেদের দাঁড় করাতে পারে মজবুত একটা ভিত্তির ওপর। তাহলে পজিশন ‘স্ট্রংগার’ হবে। শক্ত গণতন্ত্রের জন্য শক্ত বিরোধী দল দরকার। আমরা সেটা চাই।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।