আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের পদক্ষেপ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে আরও আছে-সব শ্রেণির ভোটার যাতে অবাধ ও নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা বিধানে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদের সঙ্গে সত্বর একটি এবং প্রয়োজনবোধে একাধিক বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে।

আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্দেশনায় আরও আছে, নির্বাচনি এলাকার সব স্তরের ভোটারদের এবং বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকে অবহিত হতে পারেন তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাতে হবে।

ইসি বলছে, ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও আছে, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতায় কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য যেন বজায় রাখা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। প্রয়োজনবোধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।