প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌‘একটা খেলা শুরু হয়েছে, স্যাংশন। কথায় কথায় স্যাংশন, কে কাকে স্যাংশন দেয়, সেটা আমার প্রশ্ন। আমি স্পষ্ট করে একটা কথাই বলছি, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করলাম, জঙ্গিবাদ দমন করলাম তাদের ওপরে স্যাংশন, এটা কোন ধরনের কথা? তাহলে কী জঙ্গি আর সন্ত্রাসী থাকবে বাংলাদেশে? আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।’

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকার ম্যাথডিস্ট চার্চ হলে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, এসব (স্যাংশন) নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। আপনাদেরও বলব স্যাংশন-ট্যাংশন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।’

স্যাংশন নিয়ে প্রবাসীদের চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরও বলব স্যাংশন-ট্যাংশন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। দেশ আমাদের, আমাদের দেশটাকে আমরাই গড়ে তুলব। কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। আমরাও দিয়ে দেব।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা দেখি, রোজ আন্দোলন করবে, সরকার উৎখাত করবে। আলটিমেটাম পেলাম, ১০ ডিসেম্বর…ডাকঢোল পিটাল। কেউ ঘাবড়ে গেল, কেউ ভয় পেল; আমি বললাম ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ১০ ডিসেম্বর আসল, গ্যাস বেলুনের গ্যাস চুপসে গেল। এখনো প্রতিদিন ধমক শুনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আমাদেরই করা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়ে আমাদেরকেই উৎখাতের চক্রান্ত।’

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। লন্ডনের বাইরের দূরদূরান্তের শহর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই সভায় যোগ দিতে আসেন অনেকে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান তিনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানের সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম তাকে স্বাগত জানান।