আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে নুরুল হক নুরের বিভক্তি হয়েছে আগেই। এবার দুই পক্ষই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পাল্টাপাল্টি কমিটি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ সাংগঠনিকভাবেও বিভক্ত হয়ে পড়ল।

গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নুর-রাশেদের নেতৃত্বাধীন অংশ ঢাকা মহানগরের দুটি কমিটি ঘোষণা করেছে। নুর-রাশেদ অংশের ঘোষিত গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটির সদস্যসংখ্যা ৯১ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ১০১ সদস্যের। মহানগর উত্তরের কমিটিতে মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে সভাপতি ও আবদুর রহিমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এবং মহানগর দক্ষিণের কমিটিতে মো. নাজিম উদ্দিনকে সভাপতি ও নুরুল করিমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

নুরের কমিটি ঘোষণার তিন দিন পর গতকাল শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রেজা-ফারুক অংশ মহানগরের দুইটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। রেজা-ফারুক অংশের ঘোষিত কমিটিতে উত্তরের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান ও সদস্যসচিব মোস্তাক শিশির এবং দক্ষিণের আহ্বায়ক জীসান মহসীন ও সদস্যসচিব ইমাম উদ্দিন।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নুরুল হক নুর। এর পর ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের অক্টোবরে নুরুল হক ও তাঁর সমমনারা গণঅধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। সেখানে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক করা হয়৷

এর পর কিছু দিন আগে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে নুরের বিভক্তি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত (১০ জুলাই) নুরুল হকের সমর্থকেরা দলের জাতীয় কাউন্সিল করে নুরুল হককে সভাপতি ও মুহাম্মদ রাশেদ খানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। যদিও রেজা কিবরিয়ার পক্ষ এই কাউন্সিল মানেনি। তারা রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক ও ফারুক হাসানকে ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব করে আহ্বায়ক কমিটি করেন৷

এর পরই, দুই পক্ষই (রেজা কিবরিয়া- নুরুল হক নুর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পাল্টাপাল্টি কমিটি দিয়েছে।