জো বাইডেন ২০২৪ সালে ডেমোক্র্যাট থেকে যদি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হন, তবে সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা কি তার জায়গা নেবেন? কেউ কেউ বাজি ধরছেন যে, দুর্নীতির অভিযোগ, মানসিক প্রতিবন্ধকতা দিয়ে প্রেসিডেন্টকে যদি আগামী বছর রেস থেকে দূরে রাখা যায়, তবে শেষ মুহূর্তের প্রতিস্থাপন হিসাবে এই পদে শুধু সাবেক ফার্স্টলেডির জনপ্রিয়তা রয়েছে।

অনেকেই ধারণা করছেন, এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না জো বাইডেন। সে ক্ষেত্রে মিসেস ওবামা জাতির সবচেয়ে প্রশংসিত ব্যক্তিদের একজন, বিজয়ী হওয়ার একটি চমৎকার সুযোগও রয়েছে তার। খবর ফক্স নিউজের।

এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদনে লেখক টিম স্ট্যানলি মত দিয়েছেন, প্রার্থী হিসেবে বাইডেন এখন অজনপ্রিয়। দেখতে দেখতেই তিনি অনেক বুড়ো হয়ে গেছেন। একই অবস্থা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ দুজনের বয়সই ভোটারদের বিবেচ্য বিষয় হবে।

বলা যায়, ‘বাইডেন বনাম ট্রাম্প’— দুই বুড়োর আবারও একটি নির্বাচনি লড়াই দেখতে চান না অসংখ্য আমেরিকান। এ ক্ষেত্রে তরুণ একজন প্রার্থী ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবেন।

প্রতিবেদনটিতে একটি জরিপও যুক্ত করে দেওয়া হয়। হ্যাঁ অথবা না উত্তরের ওই জরিপটিতে প্রশ্ন ছিল— ২০২৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মিশেল কি যোগ্য প্রার্থী?

উত্তরে ‘হ্যাঁ’ অপশন বেছে নিয়েছেন ৬৬ শতাংশ পাঠক।

আরেকটি বিষয় হলো— অনেকেই আবার মনে করেন, মিশেল ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এটি আসলে বারাক ওবামার তৃতীয় মেয়াদ হবে। তিনি মার্কিনিদের মধ্যে এখনো বেশ জনপ্রিয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন ওবামার তৃতীয় মেয়াদ এখনো চলমান রয়েছে। আড়ালে থেকে তিনিই আসলে বাইডেন প্রশাসনের বিদেশনীতির নেতৃত্ব দেন।

আর এ কারণে বারাক ওবামা দ্বারা প্রভাবিত ডেমোক্র্যাটরা তার নীতির সম্প্রসারণ এবং বাস্তবায়ন দেখতে মিশেলের ওপরও আস্থা রাখতে পারেন। ফার্স্টলেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে তার আট বছরের অভিজ্ঞতা এ ধরনের আস্থাকে আরও জোরালো করে।

মিশেল ওবামা অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার ইচ্ছা নেই বলে একাধিক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন। তবে পরিস্থিতি যে কোনো সময় ঘুরেও যেতে পারে।