কক্সবাজারের চকরিয়ায় জামায়াতের নায়েবি আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ‘গুলিতে’ একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চকরিয়ার চিরিঙ্গা থানা রাস্তার মাথা ও পেকুয়ার বারবাকিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ ও পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।

গুলিতে নিহত ফোরকানুল ইসলাম (৬০) চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল বারিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি চিরিঙ্গা রাস্তার মাথা এলাকায় চায়ের দোকান চালাতেন।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, পেকুয়া সদরের একটি মাঠে মাওলানা সাঈদীর গায়েবি জানাজার প্রস্তুতি নেওয়া হলে, ওখানে অনুমতি না থাকায় বাধা দেওয়া হয়। এরপর লোকজন বারবাকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদির নেতৃত্বে বারবাকিয়া বাজারে চলে যায়। সেখানে সাঈদী সাহেবের গায়েবি জানাজা শুরু করে। ওই জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশের একটি টহল টিম উপস্থিত ছিল। নামাজ চলাকালে হঠাৎ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারা হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ওসি। এসময় জানাজায় আগত লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে তিনিসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে, চকরিয়ায় হামলার ঘটনায় পুলিশ লাঠিপেটা করলেও গুলি ছোড়েনি বলে দাবি পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামের। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তি কীভাবে এবং কাদের গুলিতে মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। ঘটনার তদন্তের পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।