প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘কোনো আদর্শ নাগরিক বিএনপিকে সমর্থন করতে পারে না। কারণ দলটি রাজনীতির নামে গ্রেনেড মেরে মানুষ হত্যা করে। তারা দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’

গতকাল বুধবার রাতে জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কথাগুলো লিখে ভিডিও স্টোরিসহ একটি পোস্ট দিয়েছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি কি খুনি? আপনি কি ১০ শতাংশ কমিশন নেন? আপনি কি বিরোধী দলের ওপর গ্রেনেড হামলা চালানোয় বিশ্বাস করেন? আপনি কি অস্ত্র চোরাচালানকারী? আপনি কি সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো সমর্থন করেন? আপনি কি হাওয়া ভবনের সুবিধাভোগী?

‘আপনি যদি একজন আদর্শ নাগরিক হন, তাহলে আপনি বিএনপিকে সমর্থন করতে পারবেন না। যারা রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা করে এবং গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, তারা দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’

ভিডিও স্টোরিতে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে হওয়া বিভিন্ন অপরাধ ও অন্যায়-দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। দেখানো হয়, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের দুর্নীতি, হত্যা-নির্যাতনের কিছু পরিসংখ্যান। যেখানে বলা হয়, ‘বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। যদি আপনি খুনি না হন, তাহলে আপনি কেন খুনি তারেক জিয়াকে সমর্থন করবেন?

‘তারেক রহমান ও তার বন্ধু মামুন সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে সাত লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছিল গাজীপুরের টঙ্গীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কন্ট্রাক্ট দেবার আশ্বাসে। যদি আপনি কমিশনখোর না হোন, তাহলে খাম্বা তারেক ও বিএনপিকে কেন সমর্থন করবেন?’

পেট্রল বোমা মারা বিএনপিকে সমর্থনে নিরুৎসাহিত করে বলা হয়, ‘আপনি কি পেট্রল বোমায় মানুষ মারতে আগ্রহী। যদি তা না হোন, তাহলে কেন বিএনপিকে সমর্থন করবেন? ২০১৩-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত পেট্রল বোমা মেরে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে।’

এতিমের টাকা মেরে খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় ভিডিও স্টোরিতে। বলা হয়: ‘আপনি যদি এতিমের টাকা না মেরে খান তাহলে কেন চোর খালেদা জিয়াকে সমর্থন করবেন? জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আত্মসাৎ করে।’

ভিডিও স্টোরিতে প্রশ্ন তোলা হয় কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করা মানুষদের ওপর গুলি চালানো নিয়েও। বলা হয়: ‘আপনি কি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করা শ্রমিক-কৃষক বা সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালানোকে সমর্থন করেন? যদি এমন বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সমর্থন না করেন, তাহলে কেন চাঁপাইয়ের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালানো বিএনপির পক্ষে যাবেন?’

এতে হাওয়া ভবনে বসে টাকা পাচার করা ও লন্ডনে পালিয়ে থাকা তারেক রহমানের পক্ষে না যেতেও সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়। বলা হয়: ‘আপনি কি লন্ডনে পালিয়ে থাকা ব্যক্তি? যদি না হোন, তাহলে কেন লন্ডনে ১৪ বছর ধরে পালিয়ে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের কথায় বিশ্বাস করবেন?’

তাইতো বলা হয়: ‘আপনি যদি সুনাগরিক হোন, ইতিবাচক মানুষ হোন, ভালো মানুষ হোন, তাহলে আপনি বিএনপিকে সমর্থন করতে পারেন না। কারণ, তারা শুধু ক্ষমতায় যেতে চায়, দেশকে নিয়ে ভাবে না। দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে না। যদি করতো, তাহলে তারেক রহমান বলতো না, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। এটি জিয়া পরিবারের কোনো সম্পত্তি না। এ দেশ আপনার, আমার ও আমাদের পূর্বপুরুষের রক্ত, ঘামে এগিয়েছে।’

এতে জয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘চলুন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই একসঙ্গে। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশ গড়ি এবং আমাদের পূর্বসূরিদের রক্তের ঋণ শোধ করি। মুভ ফরোয়ার্ড বাংলাদেশ।’