জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের একটি জনপ্রিয় টকশো ‘DW খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’। সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানটির উপস্থপনা করেন বাংলা বিভাগের টিম লিডার খালেদ মুহিউদ্দীন। টকশোর অতিথিদের নানা বিষয়ে প্রশ্ন করা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও হয়।

সমালোচকদের জবাবে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেছেন, তিনি প্রশ্ন করেই যাবেন। গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। তার পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো।

গত কয়েকদিন ধরেই আমারে নিয়ে আলাপে আমি কোন প্রশ্ন করব বা আমার কোন প্রশ্ন করা উচিত তা নিয়ে অনেক পরামর্শ-আদেশ-নির্দেশ পাচ্ছি। মোটা দাগে দুই তিনটা কথা বলি..

১. ছাত্রলীগ সভাপতি বোনের গাড়িতে চড়েন নাকি ৫৫ হাজার টাকা ভাড়া গাড়িতে তা নিয়ে প্রশ্ন আমি করবই। এরকম আর কতগুলা গাড়ি সংগঠনের নামে বা অন্য নেতাকর্মীদের নামে ভাড়া নেওয়া আছে তাও আমরা জানতে চাইব। ছাত্র সংগঠনের জন্য এই ব্যয়ের অনুমোদন কে দেয় তাও জানতে চাইব।

২. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গর্ব করে বলেন, অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যেন বিদেশে পাঠানো না হয়।তিনি দেশের হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে চান। তার অনুসারীরা বিদেশে চিকিৎসা নিতে কেন যাচ্ছেন, সেখানকার ব্যয় কীরকম তাও আমি জানতে চাই।

৩. গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব যে ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে বললেন, এই সরকার হটানোর জন্য তিনি সবকিছু করতে রাজি আছেন, এর মানেও আমি জানতে চাই। আমি চাই তার দলের সহ সব রাজনৈতিক দলের দেশি বিদেশি চাঁদা সংগ্রহ ও ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য উন্মুক্ত থাকুক। এ বিষয়ে যতদিন পারি ততদিন প্রশ্ন করতে চাই।

৪. আমি চাকরি করি, আমার ও আমার পরিবারের যাবতীয় ব্যয় আমিই বহন করি।