রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) চেয়ারম্যান ইমরান খান।

তার হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক এখন কারাগারে। দলের নেতৃত্ব থেকে ডজনখানেক কর্মী ইতোমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন। তার দল নিষিদ্ধও হতে পারে।

শুধু তাই নয়, গত ৯ মে সমর্থকরা সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় তাণ্ডব চালানোয় ইমরানের বিরুদ্ধে উস্কানিরও অভিযোগ আনা হয়েছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে ডাকা হতে পারে সামরিক আদালতে। এমন পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইমরান খান।

চাপের মুখে আতঙ্কে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন নেতা ইমরানের পিটিআই ছেড়ে দেওয়ায় দলের হাল ধরবেন কে, এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছেন, এটি আমার জন্য বড় সংকট বলে আপনি মনে করতে পারেন, কিন্তু আমি তা মনে করি না।

সাক্ষাৎকারে ইমরান খানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে দল চালাবেন?

ইমরান বলেন, প্রথমত যারা চলে গেছেন, শূন্য হওয়া সেসব পদ পূরণ করবো তরুণ ও নতুন লোক দিয়ে। কিন্তু তারাও গ্রেফতার হতে পারেন।

এসব সরকারের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এসব পুরনো কৌশল। কিন্তু মনে হচ্ছে, দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন থামছে না।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ক্ষমতা হারিয়েছেন ইমরান খান। কিন্তু এখন তিনি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কোনো ভূমিকা থাকবে না, এমন পরামর্শ দেওয়া ‘বোকার স্বর্গে’ বাস করা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, আমার প্রশ্ন জাগে, তারা কী মনে করেন? আমি বলতে চাই আমাকে সরিয়ে দিলে পাকিস্তান কী লাভবান হবে?

তিনি আরও বলেন, আমি শুধু এই পুরো পরিস্থিতি দেখছি, অপেক্ষা করুন এবং দেখুন। তারা সম্ভবত আমাকে জেলে ঢোকাবে। কিন্তু এসব মেনেও নেব না এবং নীরবও থাকবো না।

লাহোরে জামান পার্কের নিজের বাসভবনে অবস্থান করছেন ইমরান খান। সেখানকার একটি জায়গায় সংবাদকর্মীদের যাতায়াত চোখে পড়ার মতো। এখানেই চলমান পরিস্থিতি নিয়ে লাইভে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।