যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও (ইইউ) অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল সোমবার বাংলাদেশে ইইউয়ের ডেলিগেশনপ্রধান চার্লস হোয়াইটলিকে এই আগ্রহের কথা জানান। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকেও এই আগ্রহের কথা বলে এসেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু এটি সরকার বা নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে আগ্রহ ও অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে গতকাল ইইউর ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলির সাক্ষাৎ ও আলোচনা প্রসঙ্গে ঢাকায় ইইউ ডেলিগেশন এক ফেসবুক বার্তায় বলেছে, ইইউর গ্লোবাল গেটওয়ে ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের সুযোগ বৃদ্ধি এবং প্রস্তাবিত ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন মোতায়েন নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।

সরকার বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে বলে আগেই জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, পর্যবেক্ষকরা যেন নিরপেক্ষ হন। তাঁরা যেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত না হন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইইউ ডেলিগেশন প্রধান বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে জোরালো অংশীদারি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো জোরদারের বিষয়ে তাঁরা কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ইইউর ডেলিগেশন প্রধানকে বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে ইইউর অবস্থান বাংলাদেশের অবস্থানের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সবার সমৃদ্ধির জন্য অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও নিয়ম ভিত্তিক ইন্দো-প্যাসিফিকে বিশ্বাস করে।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনার শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এ দেশে আরো অবকাঠামো নির্মাণ, পরিবেশবান্ধব পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ‘সবুজ বিনিয়োগে’ এগিয়ে আসতে ইইউকে আহ্বান জানান।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য আরো বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিতে তিনি ইইউকে আহ্বান জানান।

রাকিব/এখন সময়