পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে চারটি গির্জায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আজ বুধবার দেশটির ফয়সালাবাদ জেলার জারানওয়ালা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জারানওয়ালা তেসিলের প্যাস্টর ইমরান ভাট্টি বলেন, স্যালভেশন আর্মি চার্চ, ইউনাইটেড প্রেসবাইটেরিয়ান চার্চ, অ্যালাইড ফাউন্ডেশন চার্চ এবং শেহরুনওয়ালা চার্চে ভাঙচুর চালানো হয়।

তিনি বলেন, খ্রিস্টান এক পরিচ্ছন্নকর্মীর বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে এই হামলা চালানো হয়, তার বাড়িও ধসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান উসমান আনোয়ার বলেন, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছে। হামলার স্থানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ডনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে পুলিশ প্রধান বলেন, ওই এলাকায় সরু এক রাস্তায় ২-৩টি ছোট গির্জা ও একটি বড় গির্জা রয়েছে। গির্জাগুলোর একটা অংশে কয়েকজন ভাঙচুর চালিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, শান্তি কমিটি ও পুলিশ মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। উসমান আনোয়ার বলেন, ওই এলাকায় অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার একজন খ্রিস্টান। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ক্ষেপে উঠলে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

তবে খ্রিস্টান নেতাদের অভিযোগ, ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছিল। কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে চার্চ অব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বিশপ আজাদ মার্শাল বলেন, দুর্বৃত্তরা বাইবেল অবমাননা করেছে, খ্রিস্টানদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে যে আমরা পবিত্র কোরআন অবমাননা করেছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর কাছে ন্যায়বিচার ও সুষ্ঠ পদক্ষেপের দাবি জানাই। যার সুবিচার নিশ্চিতে কাজ করে তাদের কাছে আমাদের নিরাপত্তার দাবি জানায় যেন আমাদের নিশ্চিত করা হয় যে আমরা মাতৃভূমিতে নিরাপদ ও স্বাধীন থাকবো।‘

বিশপ মার্শাল বলেন, সকল পাদ্রী, বিশপ ও সাধারণ খ্রিস্টানরা এই ঘটনায় ব্যাথিত ও আতঙ্কিত।