ঘরের মাঠে বিশ্বকাপটা ভালো শুরু হয়নি কাতারের। প্রথমার্ধেই দুই গোল খেয়ে বসে স্বাগতিকরা। দুটি গোলই করেন ইনার ভ্যালেন্সিয়া। ৫ মিনিটে হেডে একটি গোল দিলেও সেটি বাতল হয় অফসাইডে। এরপর ১৫ মিনিটে পেনালটি থেকে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন। ৩১ মিনিটে আবার হেডে এগিয়ে দেন ইকুয়েডরকে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ভ্যালেন্সিয়া। পুরো ম্যাচে খাপ ছাড়া ছিল কাতার। ম্যাচের ৫৬ শতাংশ বল ছিল ইকুয়েডরের পায়ে। আক্রমণের পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেনি কাতার। মাত্র ২টি শট নিতে পারে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে ৭টি শট নেয় ইকুয়েডর।

২-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ইকুয়েডর। বিরতির পরও ম্যাচে আধিপত্য ধরে রাখে লাতিন দলটি। তবে আর গোলের দেখা পায়নি তারা। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভ্যালেন্সিয়ার দল।

সবশেষ পাঁচটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে কাতার। তারা গোল করেছে ৮টি। গোল হজম করেছে ২টি। সবশেষ ৯ নভেম্বর তারা ১-০ গোলে হারায় আলবেনিয়াকে। অন্যদিকে ইকুয়েডর তাদের সবশেষ পাঁচ ম্যাচে জিতেছে মাত্র ১টিতে, ১-০ গোলে হারিয়েছে কেপভার্দেকে। বাকি চারটি ম্যাচ হয়েছে ড্র, গোলশূন্য ড্র। মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য দুটি দল সমানে সমান। তিন ম্যাচ খেলে উভয় দলের জয় একটি করে। গোলও সমান ৬টি করে। ফিফা র‌্যাংকিংয়েও তারা কাছাকাছি— কাতার ৫০, ইকুয়েডর ৪৪।

তবে ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় কিছুটা এগিয়ে থাকবে কাতার। উদ্বোধনী ম্যাচের ভেন্যু আল বায়াত স্টেডিয়ামে এর আগে তিন ম্যাচ খেলে তিনতেই জিতেছে তারা। গোল ব্যবধান ৯-০। চেনা পরিবেশ, চেনা মাঠ, চেনা দর্শকদের সামনে অল্প চেনা ইকুয়েডরকে কাতার কুপোকাত করতে পারে কিনা দেখার বিষয়।

রাকিব/এখন সময়