অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। সংঘর্ষ চলমান থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের এক মুখপাত্র জানান, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী নাবলুস শহরে প্রবেশ করলে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে জানিয়েছিল, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে এক জন নিরস্ত্র ছিল। পরে মন্ত্রণালয় আরও ফিলিস্তিনি নিহতের খবর জানায়। রামাল্লাহ শহরের কাছে নাবি সালেহ গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলা করার সময় গুলিতে সে নিহত হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা কেবল নাবালুসে অভিযান চালিয়েছে। তবে কী কারণে এই অভিযান চালানো হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য বা ব্যাখা দেওয়া হয়নি।

ফাতাহ আন্দোলনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সকালে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি সেনা সদস্য নাবলুস শহরে ঢুকে পড়ে। এ সময় ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তারা শুধু বলেছে, তাদের বাহিনী নাবলুসে কাজ করছে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নাবলুসে জনগণের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসন জরুরি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বলে তার মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ এক বিবৃতিতে বলেছেন। ইসরাইলি বাহিনীর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নাবিল আবু রুদেনেহ বলেন, এসব হামলার বিপজ্জনক এবং ধ্বংসাত্মক পরিণতি হবে।

রামাল্লা থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে নাবলুসের পুরাতন শহর এবং এর আশেপাশে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো এটিকে ‘নরকের দৃশ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংঘর্ষ চলমান থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে শহরে পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনী নাবলুস অবরোধ করে রেখেছে।

রাকিব/এখন সময়