পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এই মুহূর্তে দেশটির অর্ধেকের বেশি অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে শনিবার ডন অনলাইন জানিয়েছে। টানা দুই মাস ধরে ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। বন্যা এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, এতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক হাজারেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে বন্যা মোকাবিলায় আরও আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান।

রোববার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, সারা দেশে ধ্বংসাত্মক বন্যার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাকিস্তান আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আবেদন করছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা এখন এক হাজার ছুঁইছুঁই। এদের মধ্যে ৩০০ শিশু রয়েছে। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ, যারা পাকিস্তানের মোট জনগোষ্ঠীর ১৫ শতাংশ।

শুক্রবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জরুরি বন্যা পরিস্থিতি ঘোষণা করেছিল। শনিবার সোয়াত জেলার অতিরিক্ত উপকমিশনার আবরার ওয়াজির জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন মৃতের সংখ্যা ছিল ১২। বন্যার কারণে ১৩০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ১৫টি সেতু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

শনিবার খাইবার পাখুতনখাওয়ার নওশেরা এলাকার বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কারণ কাবুল নদীর পানি তিন লাখ কিউসেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবরার ওয়াজির।

বিবিসি জানিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ওই অঞ্চলের মধ্যে সিন্ধু প্রদেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ।

রাকিব/এখন সময়