অবশেষে ১২০ টাকা মজুরিতেই চা-বাগানে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমিকরা। রোববার (২১ আগস্ট) মধ্যরাত পর্যন্ত চা-বাগানের শ্রমিকদের বৈঠক হয় মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখানে শ্রমিকরা প্রশাসনের সঙ্গে আগের মজুরিতে বাগানে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, রোববার (২১ আগস্ট) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করছেন। তবে দুর্গাপূজার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের আলোচনা করানো হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের বিষয় বিবেচনা করে মজুরি নির্ধারণ করবেন।

তিনি আরও বলেন, সোমবার থেকে প্রতিটি চা বাগানের শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে সব চা বাগানে কাজ শুরু হতে ১ থেকে ২ দিন সময় লাগবে। এর আগে রোববার (২১ আগস্ট) রাত ৯টায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যা চলে রাত ৩ টা পর্যন্ত।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পঙ্কজ কন্দ, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক নৃপেণ পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দীসহ বিভিন্ন ভ্যালির সভাপতিরা।

উল্লেখ্য, চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে টানা ৯ দিন ধরে আন্দোলন করেন। বেশ কয়েক দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হলেও তা সফল হয়নি। ধর্মঘটের নবম দিন গতকালও হবিগঞ্জ, সিলেট, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শ্রমিকরা।

রাকিব/এখন সময়