পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান গত শনিবার বেসামরিক-সামরিক সম্পর্কের ভারসাম্যহীনতার জন্য আক্ষেপ করেছেন।

দুর্নীতির মামলায় ‘নিজেদের চামড়া বাঁচাতে’ সেনাবাহিনীকে স্থান দেওয়ার জন্য আগের পিপিপি এবং পিএমএল-এন সরকারকে দোষারোপও করেছেন ইমরান খান।

পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ উপ-নির্বাচনের এক দিন আগে গত শনিবার মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি সেমিনারে এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেছেন, বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, সংস্থাটি যেসব পদক্ষেপ করছে তার পরিণতি উপলব্ধি করছে না।

তিনি আরও বলেছেন, যদি সেনাবাহিনী এবং জনগণের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে; … তবে তা শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানেরই ক্ষতি করবে।

ইমরান খানের মতে, গণতন্ত্র ‘নৈতিক শক্তির’ ওপর নির্ভর করে, শারীরিক শক্তির ওপর নয়। পাকিস্তান একটি সঙ্কটময় মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং আজকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, একটি ‘ব্যর্থ’ সরকারকে শক্তিশালী করা জনগণ এবং সংস্থার মধ্যে ব্যবধানকে আরও বাড়িয়ে দেবে। গঠনমূলক এবং ক্ষতিকর সমালোচনার মধ্যে পার্থক্য করা উচিত।

ইমরান খান বলেছেন, আমি কখনই গণমাধ্যমকে ভয় পাইনি। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আমি সাংবাদিকদের ঘুষ দেওয়ার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করিনি। গঠনমূলক সমালোচনা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, মানুষকে গুম করার প্রবণতা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় শুরু হয়েছিল। আফিয়া সিদ্দিকী নিখোঁজ হওয়ার পর ২০০৩ সালে আমিই প্রথম এ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। আমি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি জানতাম না। আমরা সরকারে এসেছি এবং জানতে পেরেছি যে- অনেক সময় জাতীয় সুরক্ষার জন্য লোক তুলে নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, তারা (সেনারা) বলেছিল যে- সমস্যাটি বিচার বিভাগকে নিয়ে। আমাকে দেওয়া ব্যাখ্যাটি ছিল যে, প্রমাণ বা সাক্ষীর অভাবের কারণে আদালতে একজন সন্ত্রাসীর বিচার করা কঠিন।
সূত্র : দ্য ডন