১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সংকটে দেশটির সরকার খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না। পেট্রল ও ডিজেল সংগ্রহের জন্য জ্বালানি স্টেশনগুলোতে ভিড় করা মানুষের নজিরবিহীন দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যেই সোমবার (২৭ জুন) দ্বীপ রাষ্ট্রটির সরকার আগামী দুই সপ্তাহর জন্য অপ্রয়োজনীয় যানবহনে জ্বালানি সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে চিকিৎসা, খাদ্য পরিবহনে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স, ট্রেনসহ কিছু যানবহনসমূহকে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রত্যন্ত এলাকার সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে প্রতিটি কর্মকর্তাকে বাড়িতে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকার জানায়, আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত গণপরিবহনে তেল সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী পরিষদের মুখপাত্র বন্দুলা গুনেওয়ার্দেনা বলেন, শ্রীলঙ্কা ইতিহাসে এত বড় অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়নি এর আগে কখনো। এদিকে নগদ অর্থে সঙ্কটে থাকা শ্রীলঙ্কা সস্তায় তেল আমদানির জন্য ইতোমধ্যে রাশিয়া এবং কাতারে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

মূলত করোনা মহামারি, ট্যাক্স কমানো এবং জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় দ্বিপ রাষ্ট্রটির পক্ষে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে সেখানকার মানুষদের জীবনযাত্রার জীবনযাত্রার মান কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরই মধ্যে রোববার শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি সিলন পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (সিপিসি) গণপরিবহনে ব্যবহৃত জ্বালানি ডিজেলের দাম ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার ৪৬০ শ্রীলঙ্কান রুপি নির্ধারন করা হয়েছে। পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে ৫৫০ রুপি নির্ধারণ করেছে।

রাকিব/এখন সময়