গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এরইমধ্যে জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসেবে, চার উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে উঁচু জায়গায়। এরইমধ্যে ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সেই সঙ্গে গো-খাদ্য ও জায়গার সংকটে গরু-ছাগল নিয়েও বিপাকে পড়েছেন দুর্গত এলাকার লোকজন।

বন্যা কবলিত বিস্তীর্ণ এলাকার ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির পাট, বাদাম ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের লাখ-লাখ টাকার মাছ। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

এদিকে, মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করায় চার উপজেলার ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা।

দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান। বরাদ্দের এসব চাল দুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

রাকিব/এখন সময়