হাইকোর্টের বিচার কাজ চলাকালে হঠাৎ ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী এজলাসের ডায়াসের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আমি ধর্ষণের শিকার। আমরা গরিব মানুষ, টাকা-পয়সা নাই। আমি উচ্চ আদালতের কাছে বিচার চাই।’

নীলফামারী থেকে ওই কিশোরী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে এসে বুধবার সকালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদদীনের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচার দাবি করেন।

সকালে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে হঠাৎ ওই কিশোরী তার মাকে নিয়ে ডায়াসের সামনে এসে দাঁড়ান। এ সময় আদালত তার কাছে জানতে চান কী হয়েছে? আপনি কে? আপনি কী বলতে চান? আপনার সঙ্গে উনি কে? তখন ওই কিশোরী হাইকোর্টকে নিজের পরিচয় দেন।তিনি বলেন, ‘আমার বয়স ১৫ বছর। উনি আমার মা। আমি ধর্ষণের শিকার। একজন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য আমাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু নীলফামারীর আদালত তাকে খালাস দিয়ে দিয়েছেন। আমরা গরিব মানুষ, আমাদের টাকা-পয়সা নাই। আমরা আপনার কাছে বিচার চাই।’

এ সময় আদালত ওই কিশোরীর কাছে জানতে চান যে তার কাছে কোনো কাগজপত্র আছে কি না? ওই কিশোরী মামলার কাগজ আছে বললে আদালত উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে লিগ্যাল এইডের কোনো আইনজীবী আছেন? তখন আদালতে উপস্থিত থাকা লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী বদরুন নাহার দাঁড়ালে তাকে ওই কিশোরীর মামলাটি সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নিতে নির্দেশ দেন।

পরে আইনজীবী বদরুন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, লিগ্যাল এইড থেকে কিশোরীর পক্ষে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী রোববার কিশোরীর পক্ষে আপিল দায়ের করার কথা জানান এই আইনজীবী।