বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের এই পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে ভোগ বাড়ানো নানা উদ্যোগ নিয়েছে চীনের স্থানীয় সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

এরই মধ্যে মূদ্রানীতিতে পরিবর্তন এনেছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘পিপলস ব্যাংক অব চায়না’। নীতি কাঠামোতে নানা সংস্থায় এনেছে চীনের ব্যাংক ও বীমা নিয়ন্ত্রণকারী কমিশন। অভিভাবক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এসব পদক্ষেপের ফলে ব্যবসা চাঙ্গা হবে, বাড়বে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা। পাশাপাশি যোগাযোগ ও পরিবহন, ক্যাটারিং সেবা, খুচরা পণ্যের বাজার, সংস্কৃতি ও পর্যটনকে প্রাধান্য দিয়ে আর্থিক খাতের নানা সংস্কার কার্যক্রমে হাত দিয়েছে বলেও জানানো হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে যারা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে পারেননি, তাদেরকে সহজ শর্তে ঋণ পরিশোধের সুযোগ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পূর্ব চীনের চিয়াংসি প্রদেশে গাড়ি বিক্রি বাড়াতে ৬৫৩ মিলিয়ন ইউয়ান প্রণোদনা ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, দক্ষিণ চীনের কুয়াংতোং প্রদেশে স্থানীয় ভোক্তাদের জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউয়ানের ভাউচার ইস্যু করেছে শহর গভর্নর অফিস।

বেইজিং ব্যুরো অব সেন্ট্রাল ব্যাংকের উপ-পরিচালক ওয়াং ওয়েই বলেন, “কিছু কিছু খাতে পণ্যের উৎপাদনের চাপ বেড়েছে ফলে নগদ অর্থের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে আমরা কিছু ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছি, আশা করি তাদের চাহিদা মতো অর্থ সরবরাহ করা যাবে। চলতি বছরই ১৬শ’ কোটি ইউয়ান ঋণ বিতরণ করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে।“