টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকায় রিনা আক্তার মায়া নামের এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মায়া সরকারি কুমুদিনী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের হাবিল উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ মায়ার স্বামী ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্তকে আটক করেছে।

নিহত মায়ার বাবা হাবিল উদ্দিন দাবি করেন, তার মেয়েকে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, বাসায় অন্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে মায়ার ওপর চড়াও হন প্রান্ত। বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মায়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে প্রান্ত চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং প্রান্তকে আটক করে।

তবে প্রান্তর বাবার দাবি, মায়া আত্মহত্যা করেছেন। তার ছেলেকে মিথ্যা দোষ দেওয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে প্রান্তকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত প্রান্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।