পাবনার ঈশ্বরদীতে সংঘটিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মিঠুন হত্যা মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জবা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ঈশ্বরদী উপজেলার শৈলপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিঠুন কাজের উদ্দেশ্যে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে বের হন।

এর পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর আট দিন পর ঈশ্বরদীর সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের পাশে জঙ্গল থেকে মিঠুনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে মিঠুনের পরিবার তাঁর পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহত মিঠুনের পিতা আ. মজিত প্রামানিক অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চক্রবর্ত্তী জানান, মামলা দায়েরের পর তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাগর দম্পত্তিতে চিহ্নিত করা হয়। সাগর ও জবাকে আটক করলে তাঁরা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালত ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও র্দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি জবা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন। মামলার অপর অভিযুক্ত জবার স্বামী সাগর মামলা চলাকালীন জেলহাজতে মারা যান।

কি কারণে মিঠুনকে হত্যা করা হয়েছে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন এসআই বিকাশ চক্রবর্তী জানান, সাগর দম্পতি অর্থাৎ সাগর ও জবার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার পুরনো ঈশ্বরদীর বিদিক মোড় এলাকায়। সাগর ও জবা দম্পত্তির একটি তিন বছরের শিশুসন্তান ছিল। তাঁদের সংসারে ছিল অভাব। মূলত মিঠুনের অটোরিকশা ছিনতাই করতেই তাঁকে হত্যা করা হয়। মামলার বাদীর মেয়ে-জামাই জানান, তাঁরা এ রায়ে খুশি।