চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে উজানের ঢলে ডুবে গেছে ৩ হাজার বিঘা জমির ধান। শ্রমিক সংকটের কারণে সময় মতো ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য মতে, উজানের ঢলে পূর্ণভবা নদী ভরে গেছে। নদীর পানি উপচে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিল কুজাইন, ভাটখোর, রোকনপুরগঞ্জ এলাকার তিন হাজারেরও বেশি বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে আছে। উপজেলায় এবার ৪১ হাজার ৮৩২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রাধানগর ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার ৪৭৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা।

রোকুনপুরগঞ্জের এলাকার ধান চাষি মোসলেম উদ্দিন বলেন, বিল কুজাইন এলাকায় ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। প্রথম থেকে আবহওয়া ভালো হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। গত চার-পাঁচ দিন ধরে বিল কুজাইন এলাকার জমিগুলো উজানের ঢলে ডুবে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকার পূর্ণভবা নদীর গভিরতা কম। উজানের ঢলে দ্রুত নদী ভরে যায়। নদীর পানি উপচে এলাকার সব ফলস ডুবে গেছে। পূর্ণভবা নদী খনন করে গভিরতা বাড়ালে ধান কাটার সময় পেতাম।

মাইনুল ইসলাম নামে এক কৃষক বলেন, রোকনপুরগঞ্জ এলাকায় আমরা ছয় ভাই প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ধান চাষাবাদ করেছি। কয়েকদিন ধরে উজানের ঢলে ধানি জমিগুলো তলিয়ে গেছে। আর কয়েকদিন মাঠে থাকলে ধান কেটে গোলায় ভরতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, এ খারাপ সময়ে ধান কাটার শ্রমিকও সংকট। আর যারা ধান কাটতে চায়, তারা অনান্য সময়ের চেয়ে পারিশ্রমিক বেশি নিতে চায়। গত বছরেও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে উজানের ঢল এলাকায় ঢোকে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু এবার জুনের আগেই উজানের ঢল এলো।

রাধানগর ইউপির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফুয়াদ আলী জানান, রাধানগর ইউপির তিন মৌজায় প্রায় তিন হাজার বিঘা জমি ডুবে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করছি। পানিতে কী পরিমাণ জমির ধান নষ্ট হলো আমরা খুব শিগগির জানতে পারবো।