প্রভুর বন্দনার মাধ্যমে সুফিয়া গানের আবির্ভাব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আরটিভি আয়োজন করেছে সুফি গানের রিয়েলিটি শো সুফিয়ানা ২০২২। পুরো আয়োজনের বিচারক হিসেবে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী হায়দার হোসেন এবং বাউলশিল্পী শফি মণ্ডল। বিচারকদের রায়ে আরটিভি সুফিয়ানা ২০২২ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুষ্টিয়ার প্রতিযোগী ইতি ইব্রাহিম।

তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু এবং প্রাণ গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. আনিসুর রহমান। প্রথম রানারআপ হয়েছেন ইউসুফ ইয়ামীম এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন গীতাঞ্জলী ঘোষ।

রাজধানীর বেঙ্গল স্টুডিওতে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন- কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের এ অঞ্চলে সুফী গানের চর্চাকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। তারপর এ চর্চা ততটা প্রাতিষ্ঠানিকতা না পেলেও সাধারণ মানুষের মাঝে এর চর্চা ছিল ব্যাপকভাবে। প্রায় দশ হাজার প্রতিযোগী থেকে বাছাই করে এই চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করতে যাচ্ছি। আগামী বছরেও আমাদের এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু বলেন- দেশ জাতি ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আরটিভি কাজ করে যাচ্ছে। সুফি সঙ্গীত আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ব্যাপক ভাবে জড়িয়ে আছে। এ প্রতিযোগিতায় যারা চূড়ান্ত তালিকায় উঠে এসেছেন তারা সবাই অনেক প্রতিভাবান। আমি আশা করছি তারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা প্রদান ও বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন- ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান, শিল্পী নাসিম আলী খান, শিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী এবং উক্ত আয়োজনের বিচারকমণ্ডলী।

উল্লেখ্য অনলাইনে প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন হলে প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগী এতে অংশ নেন। প্রতিযোগীদের পাঠানো গান থেকে বাছাই শুরু করে প্রথমে ১০০ জনকে স্টুডিওতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১০০ জন থেকে যথাক্রমে ৫০ জন, এরপর ২৫ জনকে নির্বাচন করা হয়। ২৫ জন থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হয়। ১০ জন থেকে চূড়ান্তভাবে ৫ জনকে গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য নির্বাচন করা হয়। ৫ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফিনালে।