দেখতে দেখতে বয়সের ৯০তম বর্ষে উপস্থিত তারা। বিয়ে করেননি এতদিন। কিন্তু প্রেম-ভালোবাসা আছে কানায় কানায় পূর্ণ। প্রেমে মজে আছেন ৭২টি বছর ধরে।
এবার প্রণয়কে তারা শুভ পরিণয়ে রূপ দিলেন।ধর্মমন্ত্র কবুল করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তারা।
বলছি দুই লেসবিয়ান নারীর প্রেম-বিবাহের মধুর গল্প। ভিভিয়ান বোয়্যাক (৯১) এবং অ্যালিস নোনি ডিউব (৯০) এ গল্পের উপজীব্য। ৭২ বছর ধরে ভালোবাসায় বুঁদ হয়ে থেকে এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন।
শতবর্ষী এ দুই নারী ঠিক মতো হাঁটতে-চলতেও পারেন না। কিন্তু হুইল চেয়ারে বসেই নিজেদের ভালোবাসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া রাজ্যের একটি চার্চে সম্প্রতি বিবাহ করেন ভিভিয়ান এবং অ্যালিস।
তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের উদ্দেশ্যে এ বিবাহের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, বহু বছর আগেই এই বিবাহ সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল।
লোয়া রাজ্যের ইয়েলে বাড়ি ভিভিয়ান এবং অ্যালিসের। ছোটবেলা থেকে একই সঙ্গে বেড়ে ওঠেন তারা। ১৯৪৭ সালে ডেভেনপোর্টে চলে আসেন ভিভিয়ান এবং অ্যালিস। সেখানে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন ভিভিয়ান এবং বেতন-সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখতেন অ্যালিস।
বিয়ের পর উচ্ছ্বসিত অ্যালিস বলেন, তারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য ঘুরে ফেলেছেন। কানাডার সব প্রদেশ এবং দুইবার ইংল্যান্ড ভ্রমণেও গিয়েছিলেন তারা।
ভিভিয়ান বলেন, এত বছর ধরে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রচুর ভালোবাসার প্রয়োজন। দুজনেরই দীর্ঘকালের বন্ধু জেরি ইয়েস্ট (৭৩) জানিয়েছেন, আমি এই দুই নারীকে বহু দিন ধরে চিনি। আমি বলতে পারি, তারা খুব স্পেশ্যাল।
২০০৯ সালে লোয়ায় সমকামী বিবাহ আইনি বৈধতা পায়।ওই দুই নারী তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, যেকোনো সময়েই নতুন অধ্যায় শুরু করা যায়, কিছুই দেরি হয় না।