জাতীয় পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ভোট গণনা ও সরকার গঠন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে পাকিস্তানে। এসব বিষয় নিয়ে দুদিন পার হওয়ার পর সুখবর পেয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।

দলটির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ১৪ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতের (এটিসি) বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে ১৪ মামলা থেকে ইমরানকে জামিন দেন।

একই সঙ্গে পিটিআই’র জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ১৩ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।
ইমরান-কুরেশিকে জামিন দেওয়া মামলাগুলো সবই গত ৯ মে দাঙ্গা সম্পর্কিত।

ইমরানের ১৪ মামলার মধ্যে ১২টি ৯ মে কেন্দ্র করে। বাকি দুটি পাকিস্তানের সারিক বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ) ও সামরিক বাহিনীর জাদুঘরে হামলা সংশ্লিষ্ট।

শাহ মুহম্মদ কুরেশির সবগুলো মামলা দাঙ্গায় উসকানি দেওয়া সংক্রান্ত।

উল্লেখ্য, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গত ৯ মে আদালত চত্বরে গ্রেপ্তার হন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পিটিআই নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের সেনানিবাস ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ দুই স্থাপনায় হামলা চালায় পিটিআই নেতাকর্মী-সমর্থকরা।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন হয়েছে। ২৬৬ আসনে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ সমর্থিতরা জয় পেয়েছে ৯৯ আসনে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পেয়েছে ৭১; পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৩ আসন। এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী, আরও ১০ আসনে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

এ অবস্থায় দেশটিতে সরকার গঠন নিয়ে চলছে আলোচনা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি জোট গঠন করতে রাজি হয়েছে।