মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ১১১ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে দেশটির মোট ২২৪ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিল। একই সঙ্গে ৮ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে এই ১১১ সদস্য পালিয়ে আসে। এদের রহমতবিলের বিজিবি ফাঁড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চত করেছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত অনেক তীব্রতর হয়ে উঠেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে রহমত বিল সীমান্ত দিয়ে একে একে ১১১ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবি সদস্যরা এদের অস্ত্র, গোলাবারুদ জমা নিয়ে ফাঁড়িতে রেখেছেন। ওখানে কেউ আহত আছে কিনা তা জানা যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার ভোরে একই সীমান্ত দিয়ে আট রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব রোহিঙ্গাও বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিজিবির সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি ) এর সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মোট ১১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে আশ্রয় নেওয়া বিজিবির সদস্যদের মধ্যে অনেকেই আহত রয়েছেন। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত ৯ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তে দিয়ে ৫ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। যাদের পরে মিয়ানমানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সোমবার রাতে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ৮ নাগরিক অনুপ্রবেশ করেছে। যাদেরও বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত বিজিবির পক্ষে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।