মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইনের কিয়াকতাউ শহরে চলছে উত্তেজনা। সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সেনাবাহিনীর নবম মিলিটারি অপারেশন্স কমান্ডেও (এমওসি-৯) চলেছে হামলা। এরপর থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে শুরু হয় তীব্র লড়াই। রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনাজারা নিউজের এক প্রতিবেদন সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক রয়েছেন। এরপর আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। প্রতিনিয়ত সেখানকার অস্থিতিশীল অবস্থা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বিজিবি মহাপরিচালক আজ কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনের সময় বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।

মহাপরিচালক বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধীনস্থ উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়কগণসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।