বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তৃতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে ফরচুন বরিশাল। বোলারদের কৃতিত্বের পর তামিম, মিরাজ, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে এই জয় তুলে নেয় দলটি।

আজ শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে দুপর দেড়টায় মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা রংপুর নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে পারে। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ও ৫ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।

১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪.২ ওভারে ৩২ রান তোলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে বোলিংয়ে এসে মাত্র দ্বিতীয় বলেই ১২ রান করা জাদরানকে ফেরান সাকিব আল হাসান। তামিম দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি ২৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করে মোহাম্মদ নবীর শিকার হন। মাঝে মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ ও মুশফিকুর রহিম ২৬ করে বিদায় নিলেও ব্যর্থ ছিলেন সৌম্য সরকার (১)।

তবে দলের আর কোনো বিপদ হতে দেননি নতুন বিয়ে করে দিনভর আলোচনায় থাকা শোয়েব মালিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মলিক ১৭ ও রিয়াদ ১৯ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান।

রংপুর বোলারদের মধ্যে সাকিব ও হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট পান।

এর আগে টস জিতে রংপুরকে ব্যাট করতে পাঠান তামিম ইকবাল। সিদ্ধান্তটি যে সঠিক নিয়েছেন, সেই প্রমাণ শুরু থেকেই দেখিয়েছে বরিশাল। ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট এনে দেন মোহাম্মদ ইমরান। ব্রেন্ডন কিংকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন তিনি। ১৫ রানের মধ্যেই আরও ২ উইকেট যায় রংপুরের। ফেরেন রনি তালুকদার ও রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিনের ব্যস্ততা ছেড়ে ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান। দুজনই ফেরেন পেসার খালেদ আহমেদের বলে। এর মধ্যে ২ রান করেই সাকিব হন বোল্ড।

৩১ রানে ফেরেন আজমাতুল্লাহ ওমারজাইও। এরপর ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন। এই দুজন দলের রান নিয়ে যান ৬৫ পর্যন্ত। তবে এই রানে সোহান (২৩) ফিরলে বিপদ বাড়ে রংপুরের।

১০ রানের বেশি করতে পারেননি মোহাম্মদ নবীও। তবে শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেছেন শেখ মেহেদী হাসান। ১৯ বলে ২৯ রান করেন এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত তার ২৯ ও শামীমের ৩৪ রানেই ১৩৪ রানের পুঁজি পায় রংপুর।

বরিশালের হয়ে বল হাতে দুর্ধর্ষ ছিলেন খালেদ। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। ৩ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।