যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী জাহাজসহ ওয়াশিংটন, সিউল ও টোকিওর যৌথ নৌ মহড়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পানির নিচে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া ।

শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। খবর এএফপির।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে কেসিএনএ জানায়, দেশগুলোর যৌথ মহড়া উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দেওয়ায় এর জবাবে পিয়ংইয়ং পূর্ব কোরীয় সাগরে পানির নিচে হাইল-৫-২৩ নামের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চালিয়েছে।

গত বছরের শুরুতে পিয়ংইয়ং জানিয়েছিল, দেশটি পানির নিচ দিয়ে পারমাণবিক আক্রমণ করতে পারে— এমন ড্রোনের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছে। এটি হাইলের আলাদা সংস্করণ বলে জানিয়েছিল তারা। হাইল শব্দের অর্থ কোরিয়ায় সুনামি। আর এর মাধ্যমে তেজস্ক্রিয় সুনামি সৃষ্টি করা যায় বলে দাবি করেছিল দেশটি। তবে বিশ্লেষকরা পিয়ংইয়ংয়ের কাছে এমন অস্ত্র আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এর আগে চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান যৌথভাবে দক্ষিণ উপকূলের জেজু দ্বীপে সামরিক নৌ মহড়া শুরু করে। গত রোববার উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে এই মহড়া চালানো হচ্ছে বলে জানায় তারা। এই মহড়ায় তিন দেশের ৯টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস কার্ল ভিনসন।

এদিকে উত্তর কোরিয়া ঠিক কবে এই অস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে, তা উল্লেখ করেনি। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের শত্রুতাপূর্ণ সামরিক তৎপরতার জবাবে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী পারমাণবিক অস্ত্রকে ভিত্তি করে পানির নিচে কাজ করে এমন সমরাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

দুই কোরিয়ার সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে আরও খারাপ হয়েছে। উত্তেজনা কমাতে দেশ দুটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়কে অগ্রাহ্য করেছে, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি তাজা গোলার মহড়া চালিয়েছে উভয় দেশ। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ঘোষণা দেন দক্ষিণ কোরিয়া হলো তাদের প্রধান শত্রু।