পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় একটি স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন।গত শনিবার দেশটির সিমিউ অঞ্চলের বারিয়াদি জেলার এনগালিতা খনিতে এ ঘটনা ঘটে।আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত ওই খনিটি ছিল অবৈধ। মূলত বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও একদল লোক সেখানে খনন শুরু করলে ভূমিধস ও প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।

জেলা প্রশাসক সাইমন সিমালেঙ্গা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ভূমিধসের পর তাকে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল যে ১৯ থেকে ২০ জন খনিতে আটকা পড়েছে। কিন্তু পরে ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সিমালেঙ্গা বলেন, সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘোষণা করার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে খনিজসমৃদ্ধ ওই এলাকায় খনন শুরু করেছিল স্থানীয় লোকজন। তবে চলমান ভারি বৃষ্টির কারণে এলাকাটিতে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার ওপর বিধিনিষেধ ছিল। ভারি বৃষ্টির জেরে সেখানে আকস্মিক বন্যাও হয়েছে।

আঞ্চলিক খনি বিষয়ক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং খনিতে খনন করা থেকে লোকজনকে বিরত রেখেছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

ওই অঞ্চলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ফাউস্টিন এমটিটুর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, অনুসন্ধান শেষ করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কোনো মৃতদেহ আটকে নেই বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এদিকে ভূমিধস ও প্রাণহানির খবরে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘নিহত এই তানজানিয়ানরা ওই এলাকার ছোট খনির শ্রমিক ছিল। তারা সেখানে নিজেদের জন্য, তাদের পরিবারের জন্য জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করেছিল।’

উল্লেখ্য, তানজানিয়ায় অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ উপায়ে খনিতে খনন বেশ সাধারণ ঘটনা। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদক দেশ