বিসিবির নির্বাচকদের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এরপর তাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী বোর্ড সভায় হয়তো নির্বাচকদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে নির্বাচকদের।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং সামনে কয়েকটি সিরিজ দেখে বিশ্বকাপের দল সাজাবেন নির্বাচকরা। তার আগে প্রায় দেড় মাসের টুর্নামেন্ট বিপিএলে উত্তেজনাপূর্ণ খেলা দেখার অপেক্ষায় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

শনিবার বিওএতে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘বিপিএলের গত আসরে তিন ভেন্যুতেই উইকেট ভালো ছিল। অনেক রান হয়েছে। আমরা চাই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। মাঠের দায়িত্বে যারা আছেন তারা চেষ্টা করছেন। এবারও ভালো উইকেট হবে। আমরা বিপিএলটা দেখব। এ বছর অনেক ম্যাচ। ব্যাপআপ খেলোয়াড় দরকার। বেশকিছু সিরিজও রয়েছে। ক্রিকেটারদের দেখার সুযোগ হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিটি দলেরই টানা খেলা রয়েছে। আমাদেরও সেভাবে চিন্তা করতে হচ্ছে। ইনজুরির কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হয়।’

নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আশা করি, যারা উপরের দিকে ব্যাটিং করে, ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের সেভাবেই ব্যাটিং দেবে। বেশি সময় ধরে ব্যাটিং করা দরকার। ১০ ওভার পর ব্যাটিং করতে এসে তেমন সময় থাকে না। আমরা বিপিএলে ফোকাস করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের টি ২০ দল ভালো খেলছে। কিছু জায়গা পূরণ করা বাকি। মিডল অর্ডার ও ওপেনিংয়ে আমাদের এমন ব্যাটার নেই, যে প্রত্যাশা অনুযায়ী বড় স্কোর করতে পারে। একজন অলরাউন্ডার খুঁজছি। আমরা চাই ম্যাচ উইনিং বোলার।’

এ বছর বিপিএলে সাত দলের ছয় দলই স্থানীয় কোচ নিয়েছে। স্থানীয়দের প্রতি আস্থা রাখায় সামনে আরও বড় কিছু হবে বলে ধারণা নির্বাচকদের। জাতীয় দলেও হয়তো স্থানীয় কোচদের নিয়মিত দেখা যাবে।