শেখ হাসান নাসরাল্লাহ হলেন একজন শিয়া ধর্মপ্রচারক, যিনি ১৯৯২ সাল থেকে লেবাননের ইরানপন্থি শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

হেজবুল্লাহকে বর্তমানে লেবাননের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য করা হয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো, লেবাননের জাতীয় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি একমাত্র তাদেরই নিজস্ব শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে।

এদিকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ লেবাননসহ অন্যান্য আরব দেশেগুলোতেও ভীষণ জনপ্রিয়। কারণ লেবাননের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং দেশটির সরকার কাঠামোতে হেজবুল্লাহ যেভাবে প্রবেশ করেছে, এর পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই নেতা।

ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে নাসরাল্লাহর।

এখানে সবচেয়ে অবাক করার বিষয়টি হলো- হেজবুল্লাহকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সত্ত্বেও ইরানের নেতারা বা নাসরাল্লাহ, কেউই কখনো তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা গোপন বা অস্বীকার করেননি।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে হাসান নাসরাল্লাহর যেমন অনেক অন্ধ ভক্ত আছে, তেমনি তার ঘোর শত্রুরও কোনো অভাব নেই। আর ঠিক এই কারণেই ইসরাইলের হাতে নিহত হওয়ার ভয়ে বহু বছর ধরে তিনি জনসমক্ষে আসছেন না।

কিন্তু তার এই আত্মগোপনের কারণে ভক্ত বা অনুসারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন না। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তিনি টেলিভিশনে তার ভক্তদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি লেবানন ও বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনা সম্বন্ধে মন্তব্য করেন এবং তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বলা হয়ে থাকে, ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য এসব বক্তৃতা মূলত নাসরাল্লাহর প্রধান হাতিয়ার।

১৯৬০ সালের অগাস্টে পূর্ব বৈরুতের একটা দরিদ্র এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন নাসরাল্লাহ। তার বাবা একটা ছোট মুদি দোকানের মালিক ছিলেন এবং তিনি ছিলেন নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার বড়।