রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে ধর্মীয় শিক্ষা বিষয়ে কোনো বক্তব্য ও প্রতিশ্রুতি না আসায় ইসলামপ্রিয় জনতা হতাশ বলে মন্তব্য করেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের নেতারা।

তাদের দাবি, দেশের কয়েকটি বড় রাজনৈতিক দল ছাড়া অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার জাতির সামনে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিও নির্বাচনী ইশতেহার পেশ করেছে। ৯০% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। মুসলমান শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়ে কোনো বক্তব্য বা প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় পুরো জাতি হতাশ। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা মানুষকে আলোর দিশা দেয়। শিক্ষাকে উপেক্ষা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া কখনো সম্ভব হবে না।

শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাস্তবধর্মী ও কল্যাণমুখী শিক্ষার মাধ্যমেই জাতিকে আলোকিত সমাজ উপহার দেওয়া সম্ভব। বাস্তবধর্মী ও কল্যাণমুখী শিক্ষা ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া কখনও সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। সৃজনশীল শিক্ষার নামে ধর্মীয় শিক্ষাকে সুপরিকল্পিতভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলাফল শুভ হবে না। অদূর ভবিষ্যতে তার কুফল আমাদের সামনে চলে আসবে।

অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি নির্বাচনী ইশতেহারে সুস্পষ্টভাবে পাঠ্যক্রমে ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানান।