মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে নৌ সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশনের নাম ‘অপারেশন জ্যাকপট’।

মুক্তিযুদ্ধের এই গর্বিত অধ্যায় নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের এই ইতিহাস। সিনেমাটি যৌথভাবে পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও ভারতের রাজিব বিশ্বাস।

বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সংবাদ সম্মেলন করে দেওয়া হলো সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

জানানো হলো, অপারেশন জ্যাকপট সিনেমায় নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করবেন অনন্ত জলিল, অমিত হাসান, জিয়াউল রোশান, মামনুন ইমন, নিরব হোসেন, জয় চৌধুরী, সাঞ্জু জন, শিপন মিত্র ও আমান রেজা।

কয়েক দিন ধরেই এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম নিয়ে চলছিল নানা গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছিল সাংগঠনিক দ্বন্দ্ব ভুলে এই সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করবেন নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খান।
এমন খবর যখন আলোচনার কেন্দ্রে, তখনই নিপুণ জানিয়ে দিলেন, জায়েদ খান এ সিনেমায় কাজ করলে তিনি কাজ করবেন না। তিনি যখন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, তখন জানতেন না এতে জায়েদ খান আছেন।

বুধবার একটি গণমাধ্যমে তিনি জানান, দ্রুতই তিনি সিনেমার সাইনিং মানি ফেরত দেবেন। কিন্তু গতকালের ঘোষণায় নিপুণের নাম আসলেও জায়েদ খানের নাম বলা হয়নি।

জানা গেল, শেষ পর্যন্ত সিনেমা থেকে বাদ পড়ছেন জায়েদ খান, থাকছেন নিপুণ। এ বিষয়ে অপারেশন জ্যাকপটের সহপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে

তিনি বলেন, ‘অপারেশন জ্যাকপট তৈরি হবে বড় আয়োজনে। অভিনয় করবেন ৮০ জনের মতো শিল্পী। অনেক শিল্পীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। অনেকের সঙ্গেই ব্যাটে-বলে মেলেনি। এর মানে এই নয় যে তারা বাদ পড়েছেন বা বাদ দেওয়া হয়েছে। যাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, তাদের নাম জানানো হলো আজ।’ সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খান বা নিপুণ কেউই উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে অপারেশন জ্যাকপট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাপ্পী চৌধুরী। কারণ জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় বাপ্পী বলেন, ‘আমাকে মৌখিকভাবে যা বলেছিল, সেটা বিশ্বাস করে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। পরে যখন স্ক্রিপ্ট পাই, তখন মনে হয় কাজটি করা আমার উচিত হবে না। এ কারণেই সরে আসা।’