নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আমরা আশা করি ভালো ভোটার উপস্থিতি থাকবে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচনের পরিবেশ খুব ভালো আছে।

আমি কিশোরগঞ্জ থেকে এখানে এসেছি। পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা পাইনি। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে কয়েকটি স্থানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সব জায়গায় এভাবেই নির্বাচন করেছি। কেউ বলার সুযোগ পাবে না যে, আগের রাতে ভোট পড়েছে। এ ধরনের অপবাদের সুযোগ যেন না থাকে সেজন্য আমরা সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠাব। তবে দুর্গম এলাকাগুলোতে আমরা রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। কেন দুর্গম এলাকায় আগে ব্যালট দিতে হবে, ব্যাখ্যা নেওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোথাও যদি বাঘ থাকে এবং তার চেয়ে ছোটখাটো কোনো প্রাণী যদি থাকে, সেখানটা তো ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তারা এসব দেখবে। মাঠ সবার জন্য সমান, আইন সবার জন্য সমান। কেউ যেন কাউকে বাধা না দেয়।

ভোটারদের মাঝে নির্বাচনের আমেজ কেমন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৮ তারিখ থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। ভোটারদের মাঝে আমেজ আসতে কিছুটা সময় লাগবে। তারা প্রার্থীদের কথা শুনবেন।

নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য কারও অস্ত্র লাইসেন্স করা থাকলে তা নিয়ে নিলে তো তাকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এখন আমরা তাকে নিরাপত্তা দেব না, নির্বাচনকে নিরাপত্তা দেব। লাইসেন্স করা অস্ত্র থাকলেও কেউ অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন যেন করতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কারা এজেন্ট হবেন, সেই তালিকা আগে থেকে দিতে হবে। কোনো এজেন্টকে বের করে দেওয়া যাবে না। এজেন্টদের সই ছাড়া কোন রেজাল্ট ডিক্লেয়ার করা যাবে না। কেন্দ্রে সব প্রার্থীর এজেন্ট যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, র‍্যাব ১১ এর অধিনায়ক (সিও) তানভীর মাহমুদ পাশাসহ জেলা নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।