যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদেরে ফিরিয়ে আনার চুক্তি করতে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেও অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

এতে অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছিটমহলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববারের হামলা জাবালিয়া শহরের আল-বারশ এবং আলওয়ান পরিবারের একটি আবাসিক ব্লকে আঘাত হানে। এতে ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন।

ওয়াফা তার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কয়েক ডজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বোমা বর্ষণে শিবিরের কয়েকটি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মৃতদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আহতদের সন্ধান করছিলেন এবং উদ্ধার হওয়া শিশুসহ আহতদের মধ্যে অনেককে কাছাকাছি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এ হামলায় তাদের সংগঠনের মুখপাত্র দাউদ শেহাবের ছেলে নিহত হয়েছেন।

তিনি ফোনে বলেছিলেন, আমরা বিশ্বাস করি ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করে আহতদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

এদিকে মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহের চিকিৎসকরা বলেছেন, দক্ষিণে রাফাহতে রোববার ইসরায়েলি সেনাদের এক হামলায় কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ বেসামরিক ইসরায়েলি ও প্রায় ৫০০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।