আওয়ামী লীগ সরকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ধ্বংসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ পরিচালনা করছে এমন মন্তব্য করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যেভাবে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, ঠিক একই কায়দায় আওয়ামী লীগ ২০২৩ সালে দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন এবং গণগ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। আমরা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবং ৭১’র পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। এখন ভারতীয় ‘র’ এবং আওয়ামী লীগের যৌথ পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে নেতা-মেধা ও সেনা শূন্য করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরুষদের না পেয়ে মা-বোনদের তুলে নিয়ে যেতো একইভাবে বিরোধী নেতাকর্মীদের বাসায় না পেয়ে মা-বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আলামত একই শুধু পার্থক্য ১৯৭১ আর ২০২৩ সালের।

তিনি আরও বলেন, আজ বাংলার মজলুম মানুষেরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শ্রমিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত! কৃষক তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত! জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত! তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও অধিকার বঞ্চিত তালিকায় এখনও বাংলার মজলুম খেটে খাওয়া মানুষেরা। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই বাংলার মানুষ তাদের ভাগ্য বদলের সরকার ফিরে পাবে। শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলন চলছে। সবাই রাজপথে থাকুন। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, জাগপা ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাজু মিয়া, যুবনেতা বিপুল সরকার, মনোয়ার হোসেন ও শাহ আলম।