বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল। কাতারের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় জিম্মিদের প্রথম দলটিকে মুক্তি দিয়েছে উভয়পক্ষ। ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। শনিবার (২৫ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩৯ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরা রয়েছেন। অন্যদিকে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত দিয়েছে হামাস।

প্যালেস্টাইন প্রিজনারস ক্লাবের প্রধান কাদোরা ফারিস জানান, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনিদের মথ্যে ৩৩ জনকে পশ্চিম তীরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সেখানে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছোসেবী দল রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া বাকি ছয়জনকে জেরুজালেমে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী চার দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে তারা মুক্তি পেয়েছেন। এ যুদ্ধবিরতি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির এ চার দিনে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন ১৫০ ফিলিস্তিনি। এর বিপরীতে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে একজন হলেন মারাহ বাকের। তিনি ২০১৫ সালে ১৬ বছর বয়সে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাকে জেরুজালেমে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আলজাজিরাকে বলেন, কারাগারে থাকা অনেকের চিকিৎসা সেবা জরুরি। বন্দিদের সবাই কারাগারে চিকিৎসাসেবায় মারাত্মক অবহলোর শিকার হচ্ছেন।

আগামীর দিনগুলোর বিষয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরে তিনি জানান, তিনি এখন পরিবারের সাথে মিলিত হয়ে সময় কাটাতে চান এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি নিতে চান।

বিবিসি জানিয়েছে, ইরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৯ জনের সবাই নারী ও শিশু। তাদের মধ্যে ২৪ নারী রয়েছেন। এছাড়া এ ধাপে ১৫ জন শিশুকেও মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের মুক্তি দেওয়া এসব ফিলিস্তিনি ওফার কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাদেরকে সেখান থেকে বের করার সময় কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে ইসরায়েলের পুলিশ বাহিনী। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া নাগরিকদের নিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে উল্লাস না করতে পারে এজন্য এমন পদক্ষেপ নেয় ইসরায়েল।

ইসরায়েলের দাবি, মুক্তি পাওয়া এসব ফিলিস্তিনিদের বেশ কয়েকজনকে ইসরায়েলি সৈন্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। এছাড়া আটক শিশুদের বিরুদ্ধে সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ করা হয়েছিল।