বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার গভীর রাতে পল্টন থানায় এ মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের এসআই মাসুক মিয়া।

মির্জা ফখরুল ছাড়াও আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, শামসুজ্জামান দুদু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এসএম জিলানী, তাবিথ আউয়াল, রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ইশরাক হোসেন, রাশেদ ইকবাল খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কাজী রওনাকুল হক শ্রাবণসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৬৪ জন নেতাকর্মী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার পল্টন থানার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে বাদীসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ‘হাজার হাজার’ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করে। ইটপাটকেলের আঘাতে এডিসি (ডিবি-ওয়ারী জোন) ইলিয়াছ হোসেন, কনস্টেবল আমিরুল হকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। সে সময় পুলিশ সদস্য আমিরুল ‘আত্মরক্ষার্থে’ ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতাড়ি ইট, লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তাতে আমিরুল গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন। তখন পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমিরুলকে পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এডিসি ইলিয়াসসহ অন্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩০২, ৩৫৩, ৪২৭, ১০৯, ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দীন মিয়া জানান, এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে এখনো গ্রেফতার দেখানো হয়নি।