ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণের ফলে ইন্টারনেটসহ সব রকমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায় আড়াই লাখের মত মানুষ নিজেদের মধ্যে ও সারা বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলের স্থলপথে হামলা শুরুর ঠিক আগ মূহুর্তে সারাবিশ্ব থেকে গাজাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে আগের তুলনায় ব্যাপক বোমা হামলা বাড়িয়েছে দখলদার ইসরাইল।

ফিলিস্তিনি টেলিকম প্রদানকারী সংস্থা পালটেল জানায়, বোমাবর্ষণের ফলে ইন্টারনেট, সেলুলারসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার ফলে গাজায় ইসরাইলের হামলায় কি পরিমাণ হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কোনো তথ্যই তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যাবে না।

এদিকে ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানায়, তারা চারিদিক থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে, যার সূচনা হচ্ছে এই স্থল অভিযান। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, সম্প্রতি কয়েক ঘণ্টায় আমরা গাজায় হামলা বাড়িয়েছি। বিমান বাহিনী মাটির নিচের নিশানা এবং সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে।

ইতোমধ্যে এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় সম্পূর্ণ এক দুর্বিষহ সময় পার করেছে গাজাবাসী। ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৩৩৪ ফিলিস্তিন নাগরিকের হত্যার খবর নিশ্চিত করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মৃত ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় আইডিসহ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তিকামি সংগঠন হামাসের অতর্কিত হামলার পর এখন পর্যন্ত ১৪০০ ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং শিশু ও বিদেশিসহ মোট ২২৯ জন আটকের খবর পাওয়া গেছে। তবে সর্বশেষ গাজায় হামলা অব্যাহত থাকার পরেও চারজন ইসরাইলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় ‘মানবিক যুদ্ধবিরতি’ প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১২০টি, ভোট দানে বিরত ছিল ৪৫টি, এবং কানাডাসহ ১৪টি রাষ্ট্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।