২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রেফতার এড়াতে বাড়িতে রাতযাপন করছেন না অধিকাংশ নেতাকর্মী। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে গা-ঢাকা দিয়ে আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে গত দুই দিনে বন্দর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ প্রায় ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের দাবি করেছে বিএনপি। রোববার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বন্দর থানার সোনাকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বন্দর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ পনেসসহ ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এছাড়া সোমবার রাতে বন্দরের মদনপুর থেকে মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাবিল হোসেন, যুবদল নেতা বাবু, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি রাসেল আহমেদ টিটু, যুবদল নেতা নাজমুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা খোকনকে গ্রেফতার করা হয় বলে বিএনপির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল জানান, যে কোনো মূল্যে বিএনপির ২৮ তারিখের সমাবেশ সফল করা হবে। নেতাকর্মীদের আমি সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি। দমন-পীড়ন আর গ্রেফতার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আন্দোলনবিমুখ করতে পারবে না।

বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি হাজী শাহেনশাহ আহাম্মেদ জানিয়েছেন, গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বন্দরের বাইরে অবস্থান করছি। সঠিক সময়ে সমাবেশ যোগদান করে সবাইকে তাগ লাগিয়ে দেব।

মহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকার বলেন, অনেক মামলা খেয়েছি, অনেকবার অহেতুকভাবে জেল খেটেছি। মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আর কোণঠাসা করা যাবে না। আগামী ২৮ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি কাণ্ডারি আতাউর রহমান মুকুল ভাইয়ের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকার সমাবেশে যোগদান করবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

মহানগর বিএনপি নেতা ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ জানান, সরকার পতনের দাবি এখন শুধু বিএনপির দাবি না। এই দাবি এখন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। তাই আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশকে সফল করার জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করবে তাদের কঠিনভাবে দমন করা হবে।