আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এক বক্তব্যের সমালোচনা করে রাজনীতিক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘আমরা ওবায়দুল কাদের সাহেবের দিকে তাকিয়ে থাকি— কী সুমিষ্ট কণ্ঠ, কী সুন্দর চমৎকার কথা, যা বলেন সবই ভালো লাগে।

সম্প্রতি এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কতগুলো সম্পত্তি দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে দিয়েছেন, হাসান মাহমুদ সাহেবকে দিয়েছেন, আনিসুল হক সাহেবকে দিয়েছেন। এই আওয়ামী লীগকে শতবছর ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য এরাই যথেষ্ট, আমাদের আসলে কিছু করতে হবে না। ‘

গত নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগ দেওয়া এই নেতা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব তো বলেছেনই— তলে তলে পিটার হাস, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়ে গেছে। আর তারা তো ফেরেশতা, তারা তো মিথ্যা কথা বলেন না। বাংলার জমিনে ওবায়দুল কাদের একটা কথা বলেছেন— সেটা কি অবিশ্বাস করতে পারি। সংবিধান বের করে আনিসুল হক বলেছেন— এভাবেই সংবিধানে লেখা আছে, এখন ওনার মতো একজন ফেরেশতা যদি আইনের ব্যাখ্যা দেন, তবে কি আমরা এর ওপরে কথা বলতে পারি। ‘

তিনি আরও বলেন, আগে তো জানতাম ইলেকট্রিক শক দেয়, সেটা তো আমরা বুঝি। কিন্তু পারমাণবিক বিদ্যুতের শক যে কেমন সেটা তো আমরা এখনো জানি না। এখন আমরা ওই পারমাণবিক থেরাপির অপেক্ষায় আছি। আমরা শুধু ভাবছি, ওই থেরাপিটা দিলে আমাদের অবস্থাটা কেমন হবে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়ে গেছে। দুইটা চালান এসে গেছে ইউরেনিয়ামের। পুতিনকে দেখছেন? হস্তান্তর করেছে। কী হবে বাংলাদেশের? আলো ঝলমলে পরিবেশ হবে। আর ফখরুলের অন্তর জ্বালা, কী অন্তরজ্বালা রূপপুর বন্ধ করে দিতে হবে। রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবো। কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু মির্জা আব্বাসের মাথায় ঢালা হবে। ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেবো, ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করব না। এই যে লাফালাফি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না, বেশি লাফালাফি করলে খবরদার খারাপ হবে।’