নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততা, নিষ্ঠা, অঙ্গীকার, মানুষের প্রতি ভালোবাসার দরকার। আর এই সবকিছু নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আপনাদের সামনে এসেছে।

আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করবো। সেটা কেবল ভোটের লড়াই নয়।
তিনি বলেন, আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, তাহলে দেশ বদলে দেব। ওদের মতো নিজের দেশকে অন্য দেশের কাছে বেঁচে দেব, পানি, মানুষ, সীমান্ত বেঁচে দেব- তেমন কাজ করব না। আমরা মানুষকে মানুষের সম্মানের জায়গায় নিয়ে আসব। সেই লড়াই আমরা করছি।

দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

সমাবেশে মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ভোটের অধিকার থাকতে হবে, সরকার সেই অধিকার নষ্ট করে দিয়েছে। পরপর দুটি সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তৃতীয়বারের নির্বাচন সামনে। আমরা এবার ভোট দেবো। এবার সরকার চেষ্টা করলেও মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।

গত ১৫ বছরে সরকার জনগণের কল্যাণের জন্য কী করেছে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সরকার বলেছিল ১০ টাকা করে চাল খাওয়াবে। বর্তমানে মোটা চাল ৫০-৬০ টাকা করে। ওরা মিথ্যুক, ওয়াদা বরখেলাপকারী, কথা দিয়ে কথা রাখে না। দাম বাড়ানোর সরকার, আর নাই দরকার। এই সরকার অবৈধ, জুলুমবাজ, ব্যর্থ ও খুনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে। আর তিন মাস পরে যখন ঋণ শোধ করতে হবে সুদসহ, তখন রিজার্ভ হবে ১০-১২ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে দুই মাসের খাদ্য আমদানি করতে পারবেন না। তার মানে পাঁচ মাস পর দেশজুড়ে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে, আমাদের সামনে কোনো খাবার থাকবে না। এই জায়গায় তারা (সরকার) আমাদের নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করেন। পদযাত্রাটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।