এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। জিততে ভারতকে করতে হবে ৫১ রান। বল হাতে মোহাম্মদ সিরাজ একাই নেন ৬টি উইকেট। ৭ ওভারে ১ মেডেনসহ তিনি রান দেন মাত্র ২১টি। ৩টি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১টি উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

শ্রীলঙ্কার ইনিংসটির স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র ৪০ মিনিট। ৯২টি লিগাল ডেলিভারিতে ১০ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করতে পারে স্বাগতিকরা। তারা সূর্যাস্তের আগেই অলআউট হয়।

৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় শানাকা বাহিনী। এরপর ১২ রানে ৫ উইকেট। সপ্তম ওভারে ২১ রানের মাথায় তারা হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। সেখান থেকে কুশাল মেন্ডিস, দুশান হেমন্ত ও দুনিথ ওয়েলালাগের ব্যাটে ভর করে ৫০ পর্যন্ত যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিস ৩৪ বলে ৩ চারে করেন সর্বোচ্চ ১৭ রান। হেমন্ত ১৫ বলে ১ চারে অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে। আর ওয়েলালাগে করেন ৮ রান। এছাড়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৪, পাথুম নিসাঙ্কা ২ ও প্রমোদ মদুশান ১ রান করেন। বাকিরা সবাই ডাক মারেন।

ফিরলেন ওয়েলালাগেও:
৪০ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। কুশাল মেন্ডিসের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়া ওয়েলালাগে এবার ফেরেন সাজঘরে। হার্দিক পান্ডিয়ার বাউন্সারে পুল শট খেলতে গিয়ে ভুল করেন। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে জমা হয়। ২১ বল খেলে ৮ রান করে যান তিনি।

সিরাজের ষষ্ঠ শিকার কুশাল:
১২ রানেই ৬ উইকেট হারানোর পর শ্রীলঙ্কাকে নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন কুশাল মেন্ডিস ও দুনিথ ওয়েলালাগে। তারা দুজন সপ্তম উইকেটে দলীয় সংগ্রহে ২১ রান যোগ করেন। কিন্তু দলীয় ৩৯ রানের মাথায় সিরাজের ষষ্ঠ শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন মেন্ডিস। তার অফ স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন সিরাজ। ৩৪ বলে ৩ চারে ১৭ রান করে যান তিনি।

নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা:
বৃষ্টির কারণে বিলম্বের পর ম্যাচ শুরু হতে না হতেই বৃষ্টির মতো উইকটে হারাতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। ১২ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসেছে ৫ ব্যাটসম্যানকে। কুশাল পেরেরা, পাথুম নিসাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও দাসুন শানাকা সাজঘরে ফিরেছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। বাকি পাঁচটি নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। বুমরাহর লেন্থ বলে উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কুশাল পেরেরা। ৩ বল খেলে তিনি কোনো রান করতে পারেননি।

মোহাম্মদ সিরাজ বোলিংয়ে এসেই আগুন ঝরাতে থাকেন। তার বল ঠিকমতো খেলতে পারছিলেন না শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিস। ওই ওভারটি মেইডেন হয়।

বুমরাহর করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ১টি রান আসে কেবল।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে শ্রীলঙ্কার সবকিছু এলোমেলো করে দেন সিরাজ। প্রথম বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পাথুম নিসাঙ্কা। ৪ বল খেলে ২ রান করে যান তিনি।

তৃতীয় বলে নতুন ব্যাটসম্যান সাদিরা সামারাবিক্রমা দিশেহারা হয়ে এলবিডব্লিউ হন শূন্যরানে।

চতুর্থ বলে চারিথ আসালঙ্কা কাভারে ইশান কিশানের হাতে ধরা পড়েন। ১ বল খেলে তিনিও ফেরেন শূন্যরানে।

পঞ্চম বলে একটি চার মারেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। কিন্তু পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১ ওভারে ৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সিরাজ।

বুমরাহও ওভারের পর নিজের তৃতীয় ওভারে ফিরে আবারও উইকেট নেন সিরাজ। চতুর্থ বলে তিনি ফেরান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে। তিনি ৪ বল খেলে শূন্যরানে আউট হন। তাতে ১২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।

বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু:
এশিয়া কাপের ফাইনালে বৃষ্টি হানা দিলেও খানিকবাদেই তা থেমে গেছে। কাভার সরিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে মাঠ। শীঘ্রই খেলা শুরু হবে। কলম্বো থেক রাইজিংবিডির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সময় ৪টা ১০ মিনিটে মাঠ গড়াবে বল।

এর আগে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এই ম্যাচে দুই দলেই এসেছে কয়েকটি পরিবর্তন।

বিশ্রাম কাটিয়ে ভারতীয় দলে ফিরেছেন বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার একাদশে এসেছে একটি পরিবর্তন। ইনজুরির কারণে মহেশ থিকশানা বাদ পড়ায় তার জায়গায় দলে এসেছেন দুশান হেমন্ত।

ভারত একাদশ: শুভমান গিল, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, ঈশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দুনিথ ভেল্লালাগে, দুশান হেমন্থ, প্রমোদ মাধুশান ও মাথিশা পাথিরানা।