চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী সপ্তাহে ভারতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়, এমন তথ্য জানিয়েছে ভারত ও চীনের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। রয়টার্স।

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি নয়াদিল্লি সফর করবেন না এবং তার পরিবর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে পাঠাবেন।

দু’জন ভারতীয় কর্মকর্তা, চীনে অবস্থানরত একজন কূটনীতিক এবং জি-২০-এর অন্য একটি দেশের সরকারের জন্য কর্মরত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে বেইজিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারত ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী মাসে ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অংশগ্রহণের বিষয়টি বেইজিং এখনও নিশ্চিত করেনি।

পত্রিকাটি বলছে, গত ছয় দশকের মধ্যে ভারত-চীন সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দুই দেশের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অচলাবস্থা চলছে। এলএসির লাদাখ সেক্টরে উভয় পক্ষই ৫০ হাজারেরও বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে দুই পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টায় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল।

গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেনের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেন শি।

আয়োজক ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনা প্রেসিডেন্টের বদলে প্রধানমন্ত্রী আসবেন।

চীনে দু’জন বিদেশি কূটনীতিক এবং জি-২০-এর আরেকটি দেশের একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শি সম্ভবত সম্মেলনে যোগ দেবেন না।

তবে ঠিক কী কারণে চীনা প্রেসিডেন্ট জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনো কর্মকর্তাই।

শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতে বেশ কয়েকটি জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বিতর্কিত হয়। রাশিয়া এবং চীন যৌথ বিবৃতিতে আপত্তি জানায়। কারণ ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের কারণে মস্কোর নিন্দা জানানোর বিষয়টি তাতে যুক্ত ছিল।

এদিকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চীনকে তার সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দেখিয়ে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে চীন। ব্রিকস সম্মেলনের সময় জোহানেসবার্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের কয়েকদিন পরে মানচিত্রটি প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ভারত।