নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘এখনো আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে ইনশাআল্লাহ তারা ভোটে আসবে।’

আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে।’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু করেছি। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করার। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে।’

ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা লাগবে। ভোটকেন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাইকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করতে হবে।’

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো হবে। আমরা নিয়োগ দেব না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।’

নির্বাচন নিয়ে চাপ আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা এতগুলো ভোট করেছি, আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনো আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে যে এরকম-ওরকম চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কোনো দিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সব সময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।’

প্রসঙ্গত, বিএনপি ও তাদের সমমনা দলের নেতারা প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, বর্তমান সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না। নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এ জন্য একদফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা।