চলতি বছর ২০-২২টি দেশে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে বড় বড় দেশের কোনো কথা নেই।

কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার(২০ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাল্টা এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। এ সময় ওবায়দুল কাদের জানান, বিএনপির যে মূল দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, এসব বিষয়ে বিদেশি কেউই কোনো কথা বলেনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশর অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বিভিন্ন দেশের এ অঞ্চলকে ঘিরে জিওপলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজি আছে। সেখানে আমেরিকার একটা ইন্টারেস্ট আছে, ভারতেরও আছে, ওদিকে চীন আছে।

তিনি বলেন, আজ এ মুহূর্তে ইকুয়েডরে ইলেকশন হচ্ছে, আর্জেন্টিনায় ইলেকশন হচ্ছে। ২০-২২টি দেশে নির্বাচন হচ্ছে। কোথাও কারো কোনো কথা নেই। শুধু বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের বড় দেশগুলোর মাথাব্যথা। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? কারণটা কী?

তিনি আরও বলেন, ভারত গতকাল আমেরিকাকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতামত জানিয়েছে। আমাদেরকে কখনও বলেনি যে তোমরা এই করো, সেই করো, তত্ত্বাবধায়ক করো, তারপরে নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রী রিজাইন করুক, এসব কথা আমেরিকাও বলেনি। এ যাবত যে তিনটা, চারটা বিষয়ের ওপর বিএনপির দাবি, একটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরেকটি হলো সংসদ বিলুপ্ত এবং নির্বাচন কমিশন…আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কেউই এগুলো বলেনি।

কাদের বলেন, বিএনপি যেসব দাবিতে গোঁ ধরে আছে সেসব দাবি নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথাব্যথা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারতও এ বিষয়ে কিছু বলেনি। আমি আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেন, এসব বিষয়ে তাদের কোনো কথা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেনি যে তত্ত্বাবধায়কের দরকার আছে। তাদের দেশে এটি নেই, দুনিয়ার কোথাও নেই।

তিনি বলেন, কেন বাংলাদেশে, বাংলাদেশে কেন? আসল জায়গায় পারে না। ওই ওখানে কী করে, আমরা একটু দেখব। নাইজারে কী করে আমরা দেখব। জান্তা প্রধান বলে দিয়েছেন, তিন বছরে এসব কথাবার্তা বলে লাভ নেই। তিন বছর পরে। এখন আমরা দেখবো আমাদের দেশ নিয়ে যারা এত কিছু করে, এত কথা বলে তারা নাইজারে কী করে, দেখব।

এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি, একজন রাজনীতিবিদদের জীবনে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রম্য নয়। সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রমযোগ্য, ইনশাআল্লাহ আমরা অতিক্রম করব।

তিনি বলেন, জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করব। নির্বাচন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সংবিধান আছে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।